মোঃ আজিজুর বিশ্বাস, স্টাফ রিপোর্টার নড়াইলঃ

লোহাগড়ায় গত ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১তারিখ ফাতেমা( ১৫) নামের একটি মেয়ে কে লক্ষীপাশা জননী সার্জিক্যাল ক্লিনিকে ভর্তি করেন তার পরিবার। ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে ফাতেমার এপেন্ডিসাইড অপারেশন করেন‌ ওই ক্লিনিক থেকে। এরপর ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে পুনরায় আবার ওই ক্লিনিকে অপারেশন করা হয়েছে ফাতেমা কে।

ডাক্তারের ভুল অপারেশনের কারণে ই মূলত (ফাতেমা (১৫)এর মৃত্যু হয় বলে জানান তার বাবা, দাদি ও পরিবারের লোক।

নিহত ফাতেমার পরিবার সূত্রে জানা যায় ফাতেমা কে এপেন্ডিসাইড অপারেশন করেন লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টি,এইচ,ও ডা:শরীফ সাহাবুর রহমান, তারপর রোগীর পেট ফেঁপে থাকার কারণে দ্বিতীয় বার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে ফাতেমার নাড়ী পেঁচিয়ে গেছে বলে তাকে পুনরায় আবার ও অপারেশন করেন ডা:শরীফ সাহাবুর রহমান।

পরবর্তীতে পরিস্থিতি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় তাকে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

এবং গত ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখ রাতে ফাতেমা চিকিৎসাধীন অবস্থায় খুলনায় মারা যায়।

ফাতেমার স্বজনরা আরো জানান,একের পর এক অপারেশনের কারনে রোগীর মৃত্যু হয়েছে,লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা:শরীফ সাহাবুর রহমানের হাতে।

এসময় ফাতেমার বাবা বলেন, ডাক্তারের ভুল অপারেশনের কারনে গত রাতে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে আমার মেয়ে মারা গেছে,আমার মেয়ে মাদ্রাসায় পড়ে এবং মামলা করলে আমার মেয়ে টাকে কাটা ফাড়া হবে বলে আমরা মামলা দায়ের করি নাই, তবে আমার মেয়ে মত কেউ যেনো কোনো মেয়ের এমন ডাক্তারের হাতে মৃত্যু না হয়।

নিহত ফাতেমা উপজেলার দিঘলিয়া গ্রামের রবিউল ইসলাম পান্নু”র মেয়ে, এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে উপজেলার মাটিয়াডাঙ্গা গ্রামের হাফেজ ইমদাদুল্লাহ আনছারীর সাথে শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ হয়।

নিহতের লাশ খুলনা থেকে দিঘলিয়া গ্রামে আনা হয়,এবং তার স্বজনরা লাশের কবর দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এই ঘটনা জানার জন্য জননী সার্জিকাল ক্লিনিকের মালিক মোঃমিজানুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে (০১৯২৮ ৪৫৬২৬৩)কথা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন আমার ক্লিনিকে অপারেশন করা হয়েছে সঠিক কিন্তু আমি তো অপারেশন করি নাই বলে এড়িয়ে যেতে চাই,

এসময় অজ্ঞান ডাক্তার কে ছিলেন ক্লিনিক মালিক মিজানুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি ডাঃ শুব্রত কুমার সাহা”র নাম বলেন।

ডাঃ শুব্রত কুমার সাহা”র সঙ্গে মুঠোফোনে (০১৭২৩ ৪৩৮৩৩৫) কথা হলে তিনি বলেন আমি প্রথম বার এপেন্ডিস অপারেশনের সময় ছিলাম না, ২য় বার অপারেশনের সময় অজ্ঞানের ডাক্তার হিসাবে আমি গিয়েছিলাম।

এবিষয়ে টি,এইচ,ও,শরীফ সাহাবুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে (০১৭১৯০২৮২১৯)কথা হলে তিনি বলেন আমি তাকে দুইবার অপারেশন করেছি সত্য,এরপরে ফাতেমার অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনা হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়,পরে জানতে পারলাম সেখানে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়েছে।